কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একসঙ্গে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন হাছেনা বেগম (৩২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বোড়ালনগর গ্রামের মো. ওয়ালিল্লাহর স্ত্রী।
রোববার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভৈরব শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র ‘হলিটাস মেডিকেল কেয়ার অ্যান্ড হাসপাতালে’ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। চিকিৎসকদের দক্ষতা ও আন্তরিকতায় মা ও তিন শিশু—সকলেই সুস্থ রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাছেনা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে তার গর্ভে তিনটি সন্তান রয়েছে নিশ্চিত হলে, রাত ১২টার দিকে গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সফিকুল ইসলাম ও এনেস্থেসিয়া কনসালটেন্ট ডা. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সফল সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়।
হাছেনা বেগমের স্বামী ওয়ালিল্লাহ মিয়া বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে একসঙ্গে তিনটি ফুটফুটে ছেলের জন্ম হয়েছে। আমরা খুব খুশি। তবে আমি দিনমজুর—অন্যের কৃষি জমিতে কাজ করে সংসার চালাই। আমাদের আগেও তিন ছেলে সন্তান আছে। এখন নতুন করে আরও তিন সন্তান—চিন্তা হচ্ছে কীভাবে দুধ, ওষুধ ও অন্যান্য খরচ সামলাব।”
এ প্রসঙ্গে হাছেনা বেগমের শাশুড়ি বলেন, “আমার পুত্রবধূ একসঙ্গে তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছে, এটা আল্লাহর বড় নিয়ামত। চিকিৎসকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
চিকিৎসক ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, “সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি সুস্থ শিশু জন্ম নিয়েছে। মা এবং নবজাতক—সকলেই এখন সুস্থ আছেন। দম্পতির আগেও তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে।”
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল আলম বলেন, “এই পরিবারটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তাই হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা যতটুকু পারি, তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করছি।”
এই আনন্দঘন ঘটনায় একদিকে যেমন মা-বাবার মুখে হাসি ফুটেছে, তেমনি ভবিষ্যৎ জীবনের দায়িত্বও বেড়েছে অনেকগুণ। সমাজের সহমর্মী ও মানবিক মানুষদের কাছে এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
