ঢাকারবিবার , ৩১ আগস্ট ২০২৫
  1. “লাল জুলাই”
  2. অষ্টগ্রাম
  3. ইটনা
  4. কটিয়াদী
  5. করিমগঞ্জ
  6. কুলিয়ারচর
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. তাড়াইল
  10. নিকলি
  11. পর্যটন
  12. পাকুন্দিয়া
  13. বাজিতপুর
  14. বিনোদন
  15. ভৈরব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাওরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মশিউর কায়েসের শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৩১, ২০২৫ ১:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত হাওরের প্রকৃতি ও রহস্যকাহিনি নিয়ে বানানো হচ্ছে শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’। কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে সম্প্রতি এর শুটিং শেষ হয়েছে।

‘নাওবিবি’র গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস। প্রযোজনায় ম্যাক রিপন।

শর্টফিল্মে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে মাহাফুজ মুন্নাকে। এর আগে বড় পর্দায় ‘উড়াল’ সিনেমায় আলোচনা তৈরি করেছেন তিনি। রহস্য-তরুণী মায়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইসরাত জাহান পমি।

ফিকশনে এটি তার প্রথম কাজ হলেও গায়িকা হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। দুইবার পেয়েছেন নতুন কুঁড়ি পুরস্কার।

ফিল্মে সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন আনন্দ সরকার। এছাড়া ফেঁউচ্চা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহ শান্ত, আর শিশু চরিত্রে দেখা যাবে শাহ ওবায়েদ নেহানকে।

মাহাফুজ মুন্না বলেন, ‘পরিচালক কায়েস ভাই তার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন আমাকে। মোশাহিদ ভাইয়ের চিত্রনাট্য পড়ে অসম্ভব ভালো লেগে যায়। এত সুন্দর বিশ্লেষণ করা চিত্রনাট্য আমি খুব কম দেখেছি। প্রতিটা কাজে চরিত্র এবং গল্প আমার কাছে মুখ্য।’

মুন্না বলেন, ‘যেহেতু এটা স্বাধীন চলচ্চিত্র তাই এখানে কষ্ট করে টিম হয়ে কাজটা তুলে আনতে হবে, এটা আগেই বুঝতে পারি। আমি এখন পর্যন্ত কয়েকটি স্বাধীন চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। টিমওয়ার্ক একটা ভালো কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই টিম ওয়ার্ক আমি নাওবিবিতে পেয়েছি। চিত্রগ্রাহক আনন্দ ভাই, সহকারী পরিচালক শান্ত ও কাঞ্চনসহ টিমের সবার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।’

ইসরাত জাহান পমি বলেন, ‘মায়া চরিত্রে কাজ করা ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। এখানে শুধু অভিনয় নয়, হাওরের প্রতিনিধিত্বও করতে হয়েছে। আমার মাধ্যমে দর্শক মায়াকেই নয়, দেখবে হাওরকে।’

‘নাওবিবি’ মূলত হাওরের আবেগ, রহস্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা নিয়ে গড়া থ্রিলার। গল্পে দেখা যায়- এক ট্র্যাভেলার হাওরে এসে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। রাতে পানিতে হঠাৎ জ্বলে ওঠে আগুন, আর সেই আগুনের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে রহস্যতরুণী মায়া। তাকে ধাওয়া করতে গিয়ে ট্র্যাভেলার ঢুকে যায় হাওরের রহস্যের ভেতর। সেই রহস্য কাটিয়ে উঠতে গিয়ে মায়া চরিত্রে ভর করে হাওরের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের গভীর টানাপোড়েন।

একসময় স্পষ্ট হয়, মায়া কেবল এক তরুণী নয়, বরং হাওরের আত্মা। তার চরিত্রে ফুটে উঠে হাওরের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের গভীর টানাপোড়েন। শর্টফিল্মটির মূল থিম জলবায়ু পরিবর্তন ও হারিয়ে যাওয়া প্রকৃতি। তবে পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি এতে রয়েছে রোমাঞ্চ, রহস্য, আবেগ ও সিনেমাটিক আবহ।

নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস জানান, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হলে ‘নাওবিবি’ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হবে।