জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে কিশোরগঞ্জে শোক র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ শোক র্যালি কর্মসূচি পালন করা হয়।
কিশোরগঞ্জ টাউন হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোক র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক রথখোলা ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম। সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, ইসমাইল হোসেন মধু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু নাসের সুমন, সদস্য সচিব শহিদুল্লাহ কায়সার শহীদ, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সভাপতি জেসমিন সুলতানা কবিতা ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ছাত্রদলের ১৪৪ জনসহ বিএনপির প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিলেন এ আন্দোলনে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম আরও বেগবান হয়েছে।”
তারা আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিল বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহ। আজ কিছু অপশক্তি ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ তাদের সেই অপচেষ্টা রুখে দেবে।”
শোক র্যালি ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
