কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ‘মাদরাসা প্রতিরোধ দিবস’। সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে শহরের পুরান থানাস্থ স্বাধীনতা চত্বরে কওমি মাদরাসাগুলোর আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আছরের নামাজের পর পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এতে বিভিন্ন ইসলামি চিন্তাবিদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মুফতি আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি রহমাতুল্লাহ সাহেব, ইসলামী আন্দোলনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আজিজুল হক জার্মানি, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রভাষক আলমগীর হোসেন তালুকদার, যুব আন্দোলনের জুবায়ের আহমেদ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সাইফ সিরাজ, সংগঠক আশরাফ আলী সোহান, ছাত্রদলের শেখ মুদ্দাসির তুশি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসাইন এবং সায়েম জায়েন প্রমুখ।
আশরাফ আলী সোহান বলেন, “সরকারের একমাত্র কাজ জুলাই মাসে ঘোষণাপত্র দেওয়া। তবে সেখানে অবশ্যই মাদরাসার ছাত্রদের আত্মত্যাগ ও অবদানের বিষয়টি লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। পাশাপাশি ২৪ জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
মুফতি আব্দুর রহিম তার বক্তব্যে বলেন, “ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে ওলামায়ে কেরাম দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। ভবিষ্যতে যদি কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দেয়, তবে দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ ও ওলামায়ে কেরাম তাদেরকেও প্রতিহত করবে।”
আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ছাত্র প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম নাদিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার দিবস ঘোষণা করলেও স্থানীয় প্রশাসন আমাদের কোনো সহায়তা করেনি। বারবার যোগাযোগ করার পরও তারা আমাদের দাবি অবজ্ঞা করেছে। এটি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমূল্যায়ন।”
অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ ও মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
