আহলুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা–২০২৫-এ প্রথম স্থান অর্জন করে কিশোরগঞ্জকে গৌরবে ভাসিয়েছে ১৩ বছরের মেধাবী হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ আল মুনাজ্জিদ।
কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়া গ্রামের সন্তান মুনাজ্জিদ বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার মারকাযুল উম্মাহ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ছাত্র। অসাধারণ কণ্ঠ, নিখুঁত তিলাওয়াত এবং সুরের মাধুর্যে বিচারকদের মুগ্ধ করে জাতীয় পর্যায়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করে সে। মুনাব্বিরের এ অসাধারণ অর্জনে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুল উম্মাহ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মুনাজ্জিদ বলেন, “আমি আমার উস্তাদের পরামর্শ আর নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই কুরআন তিলাওয়াত শিখেছি। আল্লাহর রহমতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। বড় হয়ে মাওলানা হয়ে মানুষের মাঝে কুরআনের দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে চাই।”
তার বাবা মো. মাছুম রানা—যার একমাত্র সন্তান মুনাব্বির—আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান, “এই অর্জন আমার পরিবারের জন্য এক অমূল্য আনন্দ। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এ সাফল্যের কৃতিত্ব পুরোপুরি মাদরাসার শিক্ষকদের।”
মুনাব্বিরের উস্তাদ হাফেজ মাওলানা শিবলি নোমান বলেন, “শুদ্ধ উচ্চারণ, সঠিক সুর এবং টানের প্রতিটি বিষয়ে তাকে নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, সে যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কুরআন তিলাওয়াত করে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারে, দোয়া করবেন।”
মাদরাসার পরিচালক হাফেজ ক্বারী সাজিদুর রহমানও গর্ব প্রকাশ করে বলেন, “ছোটবেলা থেকেই মুনাজ্জিদ মনোযোগ আর নিষ্ঠার সঙ্গে কুরআন মুখস্থ করছে। তার এই সাফল্য শুধু তার পরিবারের নয়, পুরো কিশোরগঞ্জের গৌরব।”
জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ আল মুনাজ্জিদ আজ হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জবাসীর গর্ব এবং জাতীয় পর্যায়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র।