শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
ভালোবাসা ডটকম, হৃদয় হরণ-ব্যাকআপে মেতেছে শিক্ষার্থীরা
Avatar
/ ২২১ ভিউ
আপডেট : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৩:২৮ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে বানানো দুই শতাধিক পিঠার নিয়ে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। ২২ স্টলে এসব পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে ক্যাম্পাসে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে ফুলে সজ্জিত ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম. মুশতাকুর রহমান।

শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ মতিউরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সিদ্দিকুল্লাহ। পরে তারা পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।

উৎসবের বিবিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায়, নকশি পিঠা, মাংস পুলি, দুধ পুলি, নারকেল পুলি, দুধ চিতই, দুধ পোয়া, ঝাল পোয়া, মাল পোয়া, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, শল পিঠা, দুধ পলি, সুখ চিতই, মলই পিঠা, বিস্কুট পিঠা, মশলা পিঠা, কুড়িমুড়ি পিঠা, নারিকেলের চিড়া, সুপি পিঠা, মিষ্টি পিঠাসহ ২২ স্টলে দুই শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে একেক ধরনের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা শিক্ষার্থীদের।

তবে ভালোবাসা ডটকম, হৃদয় হরণ ও ব্যাকআপ নামের ব্যতিক্রম এ তিনটি পিঠা সবার নজর কেড়েছে।

কলেজ শাখা বিএনসিসি প্লাটুন এর স্টলে দেখা গেছে হৃদয় হরণ ও ব্যাকআপ পিঠা।

শিক্ষার্থী ঐশি বলেন, এত রকমের পিঠা সবগুলো আমরা নিজ হাতেই বানিয়েছি। এ পিঠাগুলো তৈরিতে বাড়িতে মাসহ অন্যদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। অনেক পিঠার নাম আমরা জানতাম না। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পিঠাগুলো বানানো শিখলাম, পাশাপাশি নামও জানতে পেরেছি। এমন আয়োজন অক্যন্ত আনন্দের। দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

পিঠা উৎসব দেখতে আসা নোমান জাগো নিউজকে বলেন, পিঠা উৎসব দেখতে এসেছি। এমন আয়োজন দেখে মন ভরে গেছে। বেশ কয়েক রকমের পিঠা খেয়েছি। প্রতিটির স্বাদ ও মজা আলাদা।

গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম মুস্তাকুর রহমান বলেন, এবার নিয়ে তৃতীয়বার শীতকালে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে। এবার প্রতিটি স্টলেই নতুন ও ভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থীদেরকে আমাদর গ্রামীণ ঐতিহ্য বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন। এ উৎসবটি শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপভোগ করছে।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ