অবশেষে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ঝরছে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝড়ো বাতাস। এতে শীতল অনুভব হচ্ছে। তবে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও ফুটপাতের দোকানিরা।
শনিবার (৪ মে) সারাদিন সূর্যের তেজ থাকলেও রাত সাড়ে ৯ টায় মেঘের দেখা মেলে।তবে অন্যদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিললেও কিছু কিছু জায়গায় দেখা যায়নি ছিটেফোঁটাও। অবশেষে রাত ৯টা থেকে শীতল বাতাস বইতে থাকে।
মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরই আকাশ ভেঙে ঝরতে থাকে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। পুরো এপ্রিলজুড়ে তীব্র দাবদাহ সয়ে আসা মানুষ যেন স্বস্তি ফিরে পান। যদিও সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, দোকানি ও মোটরসাইকেল চালকরা।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। তারা জানান, বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। ফলে শীতল অনুভব হচ্ছে।
বৃষ্টির নামার পর অনেকেই স্বস্তির কথা লিখে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন। শরফ উদ্দিন জিবন একজন গণমাধ্যম কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন ‘বৃষ্টির রুপ ধারণ করে আল্লাহর রহমত ঝড়ছে। প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছে পাপিষ্ঠ বান্দারা। পাপের পাল্লা কতটুকু ভারী হয়েছে আল্লাহ তা বুঝিয়ে দিয়ে অবশেষে গুনাহগার বান্দাদের প্রতি মায়া দেখালেন।
কিশোরগঞ্জ বড়বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বিপুল ফেসবুকে লিখেন “আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এদিকেও বৃষ্টি হইছে কারেন্ট না থাকায় পোস্ট দিতে পারি নাই,এখন বিলম্বে পোস্ট করেছি।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত শাহেন শাহ নামে এই কৃষিবিদ ফেসবুকে লিখেছেন,আকাশের কি ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে,মনে হচ্ছে এত্ত দিনের আকাশের কষ্টের বর্হিপ্রকাশ।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আখতার ফারুক জানান, তীব্র তাপদাহের পর কিশোরগঞ্জে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাতে নিকলীতে ১৩ থেকে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ধারনা করা হয়েছে। তবে রাত ১২ টার পর সঠিক রেকর্ড জানা যাবে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো নিকলীতে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ো বাতাস ও বজ্রপাত ব্যাপক পরিমাণ হয়েছে এই অঞ্চলে।