দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর ) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মীর কামরুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, সৈয়দ সাঈদ আহমেদ অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্বে থেকে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। গত ২৫ শে আগষ্ট অষ্টগ্রাম উপজেলার মেঘনা নদীতে সাঈদ আহমেদের নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে জব্দ হয়। তার নেতৃত্বে থানায় গিয়ে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, প্রবাসী ও নিরিহ জনসাধারণকে আসামি করা হয়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলা অটো মিশুক সমিতির অনুমোদন দিয়েছেন যা দলীয় নিয়ম বহির্ভূতভাবে। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসেও অষ্টগ্রামে কোনো কর্মসূচি পালন করেন নাই। এরই প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির সিন্ধান্ত মোতাবেক কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ব্যাখা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে সাঈদ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি, তবে নোটিশ এখনও আমি পাইনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এসবের সাথে আমি জড়িত না। নোটিশ পাওয়ার পর যথাসময়ে ব্যাখা প্রদান করবো।
জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক, মীর কামরুল হাসান মুঠোফোনে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।