ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ ও সমাবেশের করছে গণঅধিকার পরিষদ।আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলার টিনপট্টি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন,”ছাত্র জনতার বিজয়ের পর ভারত সেটা মানতে পারে নাই, তাই ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁধের গেইট খুলে দেয় ফলে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়।ভারতের সাথে আগের সরকার গোলামির সম্পর্ক তৈরি করেছিলো,আমরা কোন গোলামির সম্পর্ক চাই না,আমরা ন্যাযতার সম্পর্ক চাই। পৃথিবীর কোন দেশের সীমান্তে এমন হত্যাকান্ড হয় না,অথচ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মত গুলি করে মানুষ মারে এসব বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই অর্ন্তবর্ন্তী কালীন সরকারের যেম ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা হামলা মামলা করেছিলো তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে,কিশোরগঞ্জেও যারা এসব অপকর্ম করেছেন তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রশাসনে দলবাজদের ঠাঁই নাই,ইতোমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সামনেও হবে। এখনোও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও আওয়ামিলীগের লোকজন অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।আমাদের ছাত্র জনতার বিজয়কে যেন কেউ
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক ত্যাগের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি,এই লড়াই সহজ ছিলো না। বহু ছাত্র জনতা এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, তাদের ত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না।
দলের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন, আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী দেশকে গড়ার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ রাখা যাবে না।
দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মোখলেসুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে গণঅধিকার পরিষদ এর কিশোরগঞ্জ জেলার সকল নেতাকর্মীরা টিম গঠন করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহসভাপতি শফিক,এসময় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।