কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একটি ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিও বক্তব্যে তাকে বলতে শুনা যায়-‘ভোট চুরি ঠেকাতে গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চার পুলিশকে মেরে আহত করেছিলাম, ৭০ রাউন্ড গুলি রেখে দিয়েছিলাম, পুলিশের ৩টি গাড়ি পুড়িয়েছিলাম। এরপরেও আমি পিছপা হইনি। যতই হুমকি-ধমকি আসুক, আমি তো ছাত্রলীগ থেকে পরীক্ষিত হয়ে আজকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এই হুমকি-ধমকিকে ভয় করার মতো লোক তো আমি না।’
৫ জুলাই বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কুড়েরপাড় বডু মার্কেটে এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় এমন বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান।
আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ঘটনা আমরা খতিয়ে দেখছি। তার বিরুদ্ধে তখন কোনো মামলা হয়েছিল কিনা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপর দিকে মামলার কথা স্বীকার করে মুজিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আমি জেল খেটেছি, বর্তমানে জামিনে রয়েছি।
উল্লেখ্য, বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফলে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়। আগামী ২৭ জুলাই এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।