প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ৪ বাস। রোববার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ পরিবহন সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আ.ন.ম. মুস্তাকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মেহেদী হাসান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো.আজহারুল ইসলাম, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ পরিবহন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মো. লিয়াকত আলী মিয়াসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
৩ মাসের জন্য পরীক্ষামূলভাবে কিশোরগঞ্জ পরিবহন মালিক সমিতির ৪টি বাস দিয়ে এ পরিবহন শুরু হয়েছে।
বাস চারটির নাম দেয়া হয়েছে- ব্রক্ষ্মপুত্র, নরসুন্দা, আড়িয়াল খাঁ ও ঘোড়াউত্রা। দৈনিক দুইবার বাসগুলো চলবে।
ব্রক্ষ্মপুত্র বাসটি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে ২৫ কিলোমিটার চলবে। বাসটি ১৪টি স্টেপে থামবে। কলেজ ক্যাম্পাস, বড়পুল, জেলখানা মোড়, চরপুমদি, রামপুর, মাস্টার বাজার, সোেম্বার দোকান, মহিলা কলেজ (ফায়ার সার্ভিস) মোড়, হোসেনপুর হাসপাতাল মোড়, আখসেন্টার মোড়, জামাইল নতুন বাজার, কাউনা বাজার, জাঙ্গালিয়া বাজার ও তারাকান্দি বাজার।
নরসুন্দা বাসটি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা বটতলা মোড় পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার চলবে। বাসটি ১৫টি স্টেপে থামবে। কলেজ ক্যাম্পাস, বড়পুল, জেলখানা মোড়, বিন্নাটি, কালটিয়া বাজার, কোদালিয়া চৌরাস্তা, সুখিয়া বাজার, কোল্ড স্টোরেজ মোড়, পাকুন্দিয়া উপজেলা মোড়, সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা, সৈয়দগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়, আঙ্গিয়াদি বাজার, খামা আমতলী বাজার, মঠখোলা বাজার বাসস্ট্যান্ড ও বটতোলা মোড় (ড্রেনের ঘাট)।
আড়িয়াল বাসটি খাঁ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে বাজিতপুরের পিরিজপুর পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার চলবে। বাসটি ১৪ স্টপে যাত্রা বিরতি দিবে। কলেজ ক্যাম্পাস, বড়পুল, জেলখানা মোেড়, বিন্নাটি, চৌদ্দশত, নান্দলা, পুলেরঘাট, বানিয়াগ্রাম বাজার, মধ্যপাড়া, আচমিতা, কটিয়াদি, উজানচর, গজারিয়া ও পিরিজপুর।
ঘোড়াউত্রা বাসটি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে করিমগঞ্জের বালিখলা পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার চলবে। বাসটি ১৩ স্টপে যাত্রা বিরতি দিবে। কলেজ ক্যাম্পাস, সতাল মোড়, নাগভাঙ্গা, বৌলাই বাজার, জঙ্গলবাড়ি মোড়, আমলীতলা বাজার, বেপারী পাড়া মোড়, নয়াকান্দি মোড়, করিমগঞ্জ কলেজ মোেড়, সমিতি বাজার, ভাটিয়া (সাকুয়া) বাজার, নেয়ামতপুর গোল চত্বর ও বালিখলা।
পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।