রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
হোসেনপুরের তিন রাস্তার সংযোগস্থল যেন মরণফাঁদ
Avatar
আপডেট : বুধবার, ১ মে, ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তিন রাস্তার সংযোগস্থল যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। গত কয়েক বছরে ওই স্থানে ছোট বড় যানবাহন দূর্ঘটনায় কমপক্ষে অর্ধডজন প্রাণহানির পাশাপাশি শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গু হয়েছেন। তাই ভুক্তিভোগীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ওই স্থানে একটি রোড ডিভাইডার কিংবা স্পিডব্রেকার স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ টু ভালুকা হাইওয়ে সড়ক এবং হোসেনপুর বাজার থেকে কিশোরগঞ্জগামী গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাস্তা মিলিত হয়েছে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও ব্র্যাক অফিসের সামনের ওই বিপদজনক তিন রাস্তার মোড়ে। ফলে ওই তিনটি সড়কের সংযোগস্থলে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা বাড়ছে। এতে সব সময় আতংকে থাকেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরারত সাধারণ পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা৷

স্থানীয় ঢেকিয়া গ্রামের রিকশাচালক মো. শরিফুল ইসলাম ও ইছহাক মিয়া জানান, গত কয়েক বছরে ওই তিন সড়কের সংযোগস্থলে ট্রাক, লরি, মোটরসাইকেল, বাস এবং পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে শতাধিক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে অর্ধডজন প্রাণহানির পাশাপাশি শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনো মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয় বালু ও পাথর ব্যবসায়ী মো. মহসিন সিরাজী জানান, ওই তিন রাস্তার মোড়ে এত বিপুল সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারংবার জানালেও অদ্যাবধি কোন প্রতিকার মিলছে না। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে এটি মরণফাঁদ হিসেবেই সমুধিক পরিচিত।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. লিমন মিয়া জানান, উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় সংলগ্ন মোড়ে হোসেনপুর বাজার থেকে জেলা শহর কিশোরগঞ্জ এবং ভালুকা টু বিশ্বরোড যাওয়ার তিনটি সড়কের কোথাও কোনো স্পিড ব্রেকার নেই৷ ওই মোড়ে গত কয়েক বছরে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় রিকশা চালক,অটোচালক, পথচারীসহ প্রায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়া শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন ৷

এ সময় পথচারী মো. অন্তর মিয়াসহ অনেকেই জানান, তিন রাস্তার সংযোগস্থলের ওই জায়গাটুকু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু নিয়ে আসা ট্রাক কিংবা ভালুকা থেকে অতিরিক্ত গতিতে আসা যানবাহনের সাথে কিশোরগঞ্জ থেকে হোসেনপুরগামী গাড়িগুলো হঠাৎ দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল জানান, মাসিক উন্নয়ন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং গতিরোধক স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় শীঘ্রই এ স্থানে গতিরোধক স্থাপিত হবে।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ