কোন বিপণনী বা বাজার নয়, ভ্রাম্যমাণ একটি দোকানে থরে থরে সাজানো ঈদের খাদ্যসামগ্রী। পোলাও চাল, সেমাই, চিনি,দুধ পেয়াঁজ ও তেল সামগ্রী দিয়ে সাজানো ১টি স্টল। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা খাদ্য সামগ্রী নিতে দিতে হচ্ছে না কোনো টাকা।
রবিবার (১৬ জুন) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাধীন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে মাঠে এমনই বিনা পয়সার বাজারের আয়োজন করে শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন নামে স্থানীয় একটি সংগঠন।
স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠন শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত বিনা পয়সার বাজারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগী সভাপতি জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া, সহকারী কমিশনার(ভূমি) ফরিদ আল সোহান, শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এ.বি.এম ছিদ্দিক চঞ্চল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আল আমিন অপু, হোসেনপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম জহির রায়হান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেন, এমন উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি। তারা যে কার্যক্রম করেছে তা নিশ্চয়ই ব্যাতিক্রমী। এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।
বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা সাদ্দাম (১১) বলে ঈদের মধ্যে সেমাই, চিনি আছিন না৷ এহন ঈদে সেমাই খাইতারবাম।
শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হোসেন জীম বলেন, আমরা বিতরণ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে বিনা পয়সার বাজারের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। এতে করে যাকে দিচ্ছি তার যেনো মনে হয় সে বাজার থেকেই জিনিসপত্র নিচ্ছে।