শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের অধ্যক্ষকে অপসারণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ন

ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রেফেসর আল আমিনকে অপসারণ করে আওয়ামী লীগ পন্থী শিক্ষিকা নিলোফার ইয়াসমিন নীলা ও নাজমুন নাহার আহমেদের নিয়োগ চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কলেজে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরের কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

এসময় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী স্লোগান দেন ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের ধ্বংসের চক্রান্তকারী চিহ্নিত আওয়ামী দালালেরা হুশিয়ার সাবধান। আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই। অবৈধ নিয়োগ মানি না, মানবো না। অবৈধ নিয়োগ চলবে না, চলবে না। আওয়ামী লীগের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান। দালালি আর করিস নারে, চাপার দাঁত থাকবে নারে। অ্যাকশন অ্যাকশন, ছাত্রসমাজের অ্যাকশন, ডাইরেক অ্যাকশন।

জানা গেছে, সারাদেশে দুর্নীতিগ্রস্ত, অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষকদের অপ্রসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি চালাচ্ছে। এমন সুযোগে কিশোরগঞ্জের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রেফেসর আল আমিনকে অপসারণের জন্য চাপ প্রয়োগ করে এলাকার কিছু চিহ্নিত লোক। আর এই চাপ প্রয়োগে ইন্ধন যোগায় কলেজের কিছু শিক্ষকা। এতে বিপাকে পড়েন অধ্যক্ষ আল আমিন। আর এটাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেন আওয়ামী লীগ পন্থী শিক্ষিকা নিলোফার ইয়াসমিন নীলা।

শিক্ষিকা নিলোফার ইয়াসমিন নিলীলার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তার ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন। এছাড়াও গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যার। তার পর সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভের কারণে গণভবনে প্রবেশ করে যে মালামাল নিয়ে আসছে এমন ছবি তিনি তার ফেসবুকে পোস্ট করে জনতাকে গাধা বলে সম্বোধন করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষিকা নিলোফার ইয়াসমিন নীলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এলাকার কিছু লোক ২০ আগস্ট কলেজ ক্যাম্পাসে এসে অধ্যক্ষ আল আমিন সাহেবকে হুমকি দিয়ে বলে তিনি পদত্যাগ না করলে লাশ ফেলে দিবে। এতে করে সাধারণ শিক্ষকরা ভয় পেয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। ডিসি সাহেব আমাকে সিনিয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য বলেছে। আমি দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। এলাকার কিছু লোক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে চাইছে কিন্তু আমি অধ্যক্ষ হতে চাই না। এছাড়াও গভর্নিং বডির কোন সদস্যও আমাকে অধ্যক্ষ হিসেবে চাইছে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের পেইজে সকল শিক্ষককে আসার জন্য অনুরোধ করে একটি পোস্ট দিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি করিনি ও অধ্যক্ষের চেয়ারেও বসিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলা আনা হয়েছে সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ