রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
ঈদ উপহার দিয়ে শিশুদের মুখে হাসি ফুটালো শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন
Avatar
আপডেট : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৩৮ অপরাহ্ন

কোন বিপণনী বা বাজার নয়, ভ্রাম্যমাণ একটি দোকানে থরে থরে সাজানো ঈদের নতুন পোশাক। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফ্রগ, কামিজ সহ নানান ধরণের পোশাক সামগ্রী দিয়ে সাজানো ৪ টি স্টল। শিশুরা যার যার পছন্দ মতো পোশাক নিচ্ছে। অপর পাশে পোলাও চাল, সেমাই, চিনি ও পেয়াঁজ নিয়ে বসেছে আরেকটি স্টল। পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী নিতে দিতে হচ্ছে না কোনো টাকা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাধীন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে প্রাঙ্গণে শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন আয়োজন করে এমন ব্যতিক্রমী বাজার।

ফিতা কেটে বিনা পয়সার বাজারের উদ্বোধন করেন প্রধান হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্র মন্ডল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জিকু, হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাহিদ হাসান সুমন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উজ্জল হোসাইন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেবাঞ্জ পন্ডিত, শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা এবিএম চঞ্চল, হোসেনপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম জহির রায়হান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল আমিন অপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুখলেসুর রহমান মোকলেছ প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ মন্ডল বলেন, আমি এমন উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি। তারা যে কার্যক্রম করেছে এতে শিশুদের পছন্দের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।

বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা মোবারক নামের পাঁচ বছর বয়সী শিশু জানায়, কোনো টাকা ছাড়াই নিজের পছন্দনুযায়ী পোশাক কিনতে পেরেছি। নিজের পছন্দের জিনিস পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

জামান নামের ৮ বছর বয়সী শিশু বলে, আগেও ঈদের পোশাক পাইতাম কিন্তু নিজের পছন্দ কইরা নেওয়ার সুযোগ আছিন না। যা দিতো তাই নিতে অয়তো।
এইহান থাইক্যা নিজের পছন্দ মতো একটা পাঞ্জাবি লইছি।

শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশনটি মূলত স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় প্রতিষ্ঠিত। ৬ বছর ধরে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে শিশুদের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু যাকে পোশাক দিচ্ছে তার পছন্দনুযায়ী হয়েছে কিনা সেটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাদের পছন্দকে অগ্রধিকার দিতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই বাজার। প্রায় দুইশতাধিক শিশু ঈদের পোশাক ও শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে বিনা পয়সার বাজার থেকে।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ