শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
পাকুন্দিয়ার গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি টঙ্গী থেকে গ্রেফতার
এসকে রাসেল
/ ১০২ ভিউ
আপডেট : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪, ৫:১৯ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার গণধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্বথানার জামাই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প।

গ্রেফতারকৃত ২ আসামী হলেন- জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা তারাকান্দি ভূইয়া বাড়ির মো. মাসুম এর ছেলে মেহেদী হাসান(২২) ও একই এলাকার আকন্দবাড়ির মোখলেছ মিয়া ছেলে আতিকুর রহমান @মাহিন(২২)।

র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আশরাফুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ভিকটিম চরতেরটেকিয়া এলাকা থেকে তার বন্ধু সাব্বির(১৮) ও আশরাফ(১৯) কে সাথে নিয়ে ড্রাইভার হুমায়ুন কবির(২১)এর অটোরিকশায় করে তারাকান্দি এলাকায় ঘুরতে যায়। তারাকান্দি বাজারে যাওয়ার পর রাস্তার পাশে অটোরিকশা রেখে সাব্বির ও আশরাফ দোকান থেকে কিছু কিনতে গেলে আসামি মো. কাউসার(২৪), জুবায়েদ হাসান শুভ(১৮), মো. হাসান(২২), হৃদয়(৩২), মাহিন@বাবু(২২), তোফাজ্জল হোসেন রাজু(২৪) এবং ইয়াছিন(২৫) ভিকটিমকে উত্যক্ত করতে থাকে।

ওই সময় সাব্বির ও আশরাফ আগাইয়া আসলে আসামিগণ তাদেরকে অটোরিকশায় তুলে জোরপূর্বক তারাকান্দি এলাকার তারাকান্দি ফাজিল মাদরাসা মাঠে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির, আশরাফ এবং অটোরিকশার ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরকে মাদ্রাসার মাঠে আটকে রেখে আসামিরা বিকাল ৩টার দিকে ভিকটিমকে মাদ্রাসার পাশের জনৈক রানা ভূইয়ার পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে গিয়ে আসামি হৃদয়, হাসান, মাহিন@বাবু, কাউছার এবং জুবায়ের হাসান শুভসহ অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় পালাক্রমে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ সময় ভিকটিমের সাথে থাকা ভিকটিমের বন্ধু সাব্বির ও আশরাফের কাছ থেকে আসামিরা ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আশরাফ মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহের কথা বলে কৌশলে পাকুন্দিয়া থানায় এসে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষনিক তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাস্থল থেকে আসামি মো. কাউছার, জোবায়ের হাসান শুভ এবং তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে গ্রেফতার করে। ভিকটিমসহ ভিকটিমের সাথে থাকা ভিকটিমের বন্ধু সাব্বির এবং ড্রাইভার হুমায়ুন কবিরকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভিকটিম চিকিৎসা গ্রহন করে পাকুন্দিয়া থানায় ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি দায়ের করে।  মামলা হওয়ার পর এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা আটক থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আসামিদেরকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক মামলার ৩ ও ৫নং এজাহারনামীয় আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদ্বয়ের অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র‌্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্বথানার জামাই বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আশরাফুল কবির জানান, এ মামলার পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-১৪ এর অভিযান অব্যহত রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ