“২৪ সালে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি বিজয় অর্জন করেছি। ছাত্র জনতার ঐক্যকে বিনষ্ট করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এই বাংলাদেশে দখলদারিত্ব চলবে না। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব চলছে, আমরা স্পষ্ট ভাবে বলছি এসব দখলদারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলায় ভৈরব উপজেলার সন্ধ্যায় শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গণঅধিকার পরিষদ শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে গণহত্যায় নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামিলীগের বিভিন্ন নেতাদের এলাকায় ফেরাচ্ছে বিএনপির নামধারী এক শ্রেণীর লোক। আমরা স্পস্ট করে বলছি এদের বিরুদ্ধে বিএনপির ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএনপি আমাদের মিত্র, গত ১৫ বছরে বিএনপি গুম খুন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যারা চাঁদাবাজি করছে,দখলদারি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি কে এখন প্রমাণ করতে হবে বিএনপি মুদ্রার এপিঠওপিঠ নয়। গতকাল কক্সবাজারে একজন সেনা অফিসার দূর্বত্তদের হামলায় নিহত,এটা সামান্য কোন বিষয় নয়।পাশের দেশোর গোয়েন্দা সংস্থা এখনও এই দেশে তৎপর।তারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা বিভক্ত হয়ে গেলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা সুযোগ নিতে পারে।
আবু হানিফ আরও বলেন, ১৮ মাসের ভিতর নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান যে বক্তব্য দিয়েছে তা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে গণঅধিকার পরিষদ। আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার করে দ্রুত সময়ের নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক।
তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কিংবা ক্ষমতার অংশীদার হলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দিবে। দেশের বেকারত্ব কমানোর জন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার জন শিক্ষিত বেকার যুবকদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
ভৈরব উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ কাজলের সভাপতিত্বে ও ছাত্র নেতা জুনায়েদ সরকারের সঞ্চালনায় সভায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহঅর্থ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল, কিশোরগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, কটিয়াদী উপজেলা আহ্বায়ক মহসিন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সদস্যসচিব মোস্তফা কামাল, বাজিতপুর উপজেলার নেতা হুমায়ুন আহমেদ ও ইকবাল হাসান প্রমুখ।