কিশোরগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান মিলন অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে দিশেহারা। পেনশন দিয়ে সংসার চালানোই দায়। এর ওপর স্ত্রী বেগম রোকসানা আতা খানের ওপেন হার্ট সার্জারির পূর্বাপর খরচ মেটাবেন কিভাবে। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের সহৃদয় বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের রোকেয়া সরণির বাসিন্দা আতাউর রহমান খান মিলন ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী। ৪০ বছর চাকরি শেষে ১২ বছর আগে অবসরে গেছেন। কর্মজীবন থেকে শুরু করে এখনও তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বর্তমানেও তিনি স্থানীয়ভাবে একজন সফল নাট্যাভিনেতা।
তার দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে মাস্টার্স পাস করে বাসায় বেকার বসে আছেন। ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেও টাকার অভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাতে পারছেন না। আতাউর রহমান খান মিলন ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনও এর ধকল সামলাচ্ছেন। এর উপর স্ত্রী রোকসানা আতা খান গত ১৭ জানুয়ারি স্ট্রোক করলে স্বামী মিলন দিশেহারা হয়ে পড়েন। স্থানীয়ভাবে কিছুটা চিকিৎসা শেষে নিয়ে গেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। হৃদপিণ্ডে চারটি ব্লক ধরা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ৮ ঘন্টার ওপেন হার্ট সার্জারির পর তিনি এখন নাজুক অবস্থায় আছেন বলে জানালেন আতাউর রহমান খান মিলন।
তিনি জানান, পেনশনের টাকায় সংসারই ঠিকমত চলছে না। বিক্রি করার মত পৈত্রিক জমিজমাও নেই। ফলে তার এখন দিশেহারা অবস্থা। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সহৃদয় দেশবাসীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কেউ আর্থিক সহায়তা পাঠালে আতাউর রহমান খান মিলনের ০১৯৮৪-৭৭৮৪৮৪ নম্বরে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।