শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাতেও শোলাকিয়ায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা : পুলিশ সুপার
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ৪:২৩ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাতেও চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম পিপিএম বার।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে শোলাকিয়া মাঠ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।

এ সময় তিনি শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের চারপাশ ঘুরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে চেকিং হয়ে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করবে। কাউন্টার টেরোরিজমসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। আশা করি এবার নিরাপদে নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন। মুসল্লিরা শুধু জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এ সময় জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) ডিআইও-১ (ওয়ান) ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসারসহ অন্যান্য অফিসাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে।

জনশ্রুতি আছে, শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ ঈদের জামাতের মোনাজাতে ভবিষ্যতে মাঠে মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়া লাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। অন্য একটি মতে, সেইদিনের সেই জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ লোক জমায়েত হন। ফলে ‘সোয়া লাখে’র অপভ্রংশ হয়ে ‘শোলাকিয়া’ নামটি চালু হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ (মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর) ঈদগাহের জন্য ৪ দশমিক ৩৫ একর জমি শোলাকিয়া ঈদগাহে ওয়াকফ করেন। এই মাঠে ২৬৫টি কাতার আছে, প্রতিটি কাতারে ৫০০ মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন।

বর্তমানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চেয়েও বড় বড় ঈদগাহ ময়দান প্রতিষ্ঠিত হলেও মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ