কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে,ফসলের লাভজনক দাম নির্ধারণ, সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু, পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ভূমি অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি তাড়াইল উপজেলা কমিটি।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০ টায় তাড়াইল উপজেলা পরিষদের সামনে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি তাড়াইল উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলার কৃষকগণ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি এনামুল হক ইদ্রিস। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক রবীন্দ্র ররকার, সাংবাদিক মুকুট রঞ্জন দাস, উপজেলা কৃষক সমিতির আহ্বায়ক আলী আকবর রাজ্জাকী, সদস্য সচিব আবদুল হেলিম, সম্মানিত সদস্য অসিম ভৌমিক।
এ সময় এনামুল হক ইদ্রিস বলেন,
প্রতিবছরই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ আর নদী খননের নামে এক শ্রেণির মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেন। তাদের দুর্নীতর কারণে হাওরে নিয়মিত ফসলহানির ঘটনা ঘটছে। এ সব অসাধুদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বেশির ভাগ প্রান্তিক কৃষক ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেন। এক বছর তাদের জমির ফসল তলিয়ে গেলে সেই ঋণ টানতে হয় সারাজীবন। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বিক্রি করতে গৃহপালিতপশুও। অনেকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে শহরে পাড়ি জমান। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকের কৃষি ঋণও মওকুফ করতে হবে। এছাড়া জমির মালিককে প্রণোদনা না দিয়ে প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের দেয়ার দাবিও জানান তিনি। সাংবাদিক রবীন্দ্র সরকার বলেন, হাওর অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানের নদী-খাল-বিল ভরাট হয়ে শুকিয়ে গেছে। নিয়মিত নদী খনন না করায় উজানের পানিতে হাওরের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এগুলো খনন, জলমহাল ইজারা প্রথা বাতিল ও পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান তিনি। বক্তারা অবিলম্বে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।