কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের জেসি এগ্রো ফার্ম ‘ডেইরি আইকনে’ ভূষিত হয়েছে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে শনিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে এ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেসি এগ্রো ফার্মের পরিচালক উম্মে হানী চাঁদনীর হাতে ক্রেষ্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরেটরস ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মাহমুদ বেলাল হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. মো. রিয়াজুল হক।
মো. এরশাদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
জেসি এগ্রো ফার্মের পরিচালক উম্মে হানী চাঁদনী বলেন, জেসি এগ্রো ফার্মকে দেশের হাজার হাজার খামারের মধ্যে যাছাই-বাছাই করে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখায় এই সম্মাননা প্রদান করেছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কারন এই সম্মাননা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করবে। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি কর্ণধার আমার স্বামী এরশাদ উদ্দিনের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ভবিষ্যতে আরও ভালো পর্যায়ে নিতে পারবো বলে আশা করছি।
প্রতিষ্টানটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এরশাদ উদ্দিন বলেন, আমারা শুরু থেকে কীভাবে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখা যায় সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। এই প্রতুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে দুধ ও মাংস উৎপাদনে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। আর প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের “ডেইরি আইকন-২০২৩” এর সম্মাননা জেসি এগ্রো ফার্মের প্রতিটি কর্মীকে নিঃসন্দেহে কাজের আরো উৎসাহ ও সৃষ্টি করবে।
উলেখ্য, কিশোরগঞ্জে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুরে অবস্থিত জেসি এগ্রো ফর্মা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেকারদের কর্মস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় পর্যায়ে দুধ এবং মাংস উৎপাদনে সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও প্রতিবছর যেখানে রমজান মাস আসলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় সেখানে তারা বিগত ৪ বছর ধরে প্রতি রমজান মাস জুড়ে ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় রয়েছে।