কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া অবৈধভাবে ভেজাল জুস তৈরীর অপরাধে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা জাফর আলী বাজার নিউ আল মদিনা ফুড এন্ড বেভারেজে মালিক মো. মোহসিন(৪৫) কে এ জরিমানা করা হয়। পরে এসব ভেজাল পণ্য ধ্বংস করা হয়।
নিউ আল মদিনা ফুড এন্ড বেভারেজে মালিক মো. মোহসিন একই এলাকার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোক্তা অধিকার ও র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, কিছু অসৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল জুস তৈরী করে তা বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা ছোট ছোট শিশুসহ সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এসব তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের ভেজাল খাদ্য চক্রের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালায় এবং এসব তথ্যের সত্যতা পায়।
পরে আজ বৃহস্পতিবার বিকলে সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা জাফর আলী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন ভেজাল জুস তৈরী, পণ্যে যথাযথ মোড়ক ব্যবহার না করা ও বৈধ কোন কাগজ পত্র না থাকায় নিউ আল মদিনা ফুড এন্ড বেভারেজ এর মালিক মো. মোহসিনকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৩ হাজার ৬০০ বোতল ভেজাল জুস, নকল বোতলের লেবেল ১৫ হাজার পিস, হাই স্পিড আইসক্রিম ২ হাজার ৪০০পিস, হাই স্পিড বোতলের লেবেল ২ কেজি, হাই স্পিড লেবেল প্যাকেট ২ হাজার পিস ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক ও র্যাব-১৪ সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের মালিক দীর্ঘদিন যাবৎ ভেজাল জুস উৎপাদন করে আসছিল বলে স্বীকার করে। ভেজাল পণ্য বাজারজাতকারী চক্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।