রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
রমজানের আগেই পাকুন্দিয়ায় সবজির বাজার চড়া
এসকে রাসেল
/ ১৯৮ ভিউ
আপডেট : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

পাকুন্দিয়া উপজেলা পৌর সদর বাজারের সবজি দোকানগুলোতে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি। রমজানকে কেন্দ্র করেই অগ্রিম বাজার করতে ব্যস্ত সবাই। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এইবার নিত্যপণ্যের দামের অস্বস্তি নিয়ে শুরু হচ্ছে রমজান। দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের নিলেও এর কোনো প্রভাব নেই স্থানীয় বাজারে। বরং দাম বেড়েছে রোজায় অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য বেগুন, শষা ও লেবুর।

বাজারে জাতভেদে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত,শষা ৮০ থেকে ১০০, লেবু ১০০ টাকা কেজি। প্রতিটিই সবজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর দাম স্থিতিশীল থাকলেও পাঁচ কেজির নিচে বিক্রি করছে না। পাঁচ কেজি আলু ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সীম, গাজর, টুমোটো কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, চাহিদা আর সরবরাহের যোগানে ঘাটতির কারণেই বাজারের নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাইকারি পর্যায় থেকে বাড়তি দামে পণ্য কেনায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।

বাজার করতে আসা ক্রেতা নাঈম বলেন, অন্যান্য দেশে রোজা এলে পণ্যের দাম কমানোর প্রতিযোগিতা চললেও বাংলাদেশে চলে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। যে যার মতো পারছে দাম বাড়িয়ে পকেট কাটছে ভোক্তার।

ইজাজুল বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে উচ্চ মূল্যে দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সরকার যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তাহলে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকবে বলে আমি আশা করি।

পাকুন্দিয়া বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি এরফান উদ্দিন মাস্টার বলেন, প্রতিটি দিবস, ঈদ ও রমজানকে কেন্দ্র করে মানুষ বাজার করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যার জন্য সব জিনিসেরই দাম বেড়ে যায়। সেটা সবজি বাজার হোক বা কাপড়ে বাজারেই হোক। আমরা যদি একসাথে অগ্রিমবাজার না করি তাহলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আলহামদুলিল্লাহ ইচ্ছা করলেই দাম বৃদ্ধি করতে পারবেনা কারণ অগ্রিম বাজার করলে কৃত্রিম সংকট শুরু হয়। এছাড়াও সাবেক এই সভাপতি বলেন, নিয়মিত বাজারে মনিটরিং করা প্রয়োজন এবং সরকার নির্ধারিত প্রতিটি মূল্য যাচাই করা উচিত।

মো. খাইরুল ইসলাম/এসকে

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ