কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন। আজ রোববার (১১ আগষ্ট) বিকেলে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এসব মন্দির পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা যাতে কোনো ধরণের হামলা কিংবা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন না হন সেজন্য কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। উপজেলার পৌরসভা, মির্জাপুর, বাহাদিয়া, খামা, নারান্দী ও হোসেন্দীসহ উপজেলার অন্যান্য এলাকায় বেশ কয়েকটি মন্দির ও হিন্দু পাড়া রয়েছে। এসব মন্দির ও হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় যাতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং তারা যেন অনিরাপদ বোধ না করেন সেজন্য স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে পাহাড়া এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বিল্লাল হোসেন উপজেলার বেশকটি মন্দির পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, এ উপজেলায় সম্প্রীতি বিরাজ করছে। এখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের সার্বিক নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাই মন্দির রক্ষাসহ তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মন্দির পরিদর্শনকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন তারা ভালো আছেন। গুজব প্রতিরোধ এবং কোনো ধরণের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করলে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করার জন্য তাদেরকে বলে দিয়েছি।