কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে গিয়ে এক নারীসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, কক্সবাজারের হামিদাপাড়া পাহাড়তলী এলাকার মো. সালেহের স্ত্রী হামিদা বেগম (২৮) ও একই জেলার রামু এলাকার রফিক আহমেদ ছেলে মো. এরশাদ (২০)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা ১১টা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভুয়া জন্মসনদ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে আসেন হামিদা বেগম। এসময় তার সঙ্গে সহযোগী ছিলেন মো. এরশাদ। নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এসময় তারা কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। পরে ভৈরব থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজুর স্বাক্ষরিত একটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন এনে এনআইডি কার্ড আবেদন করতে আসেন হামিদা বেগম। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তার বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে অবগত করলে জানতে পারি তিনি তাকে চিনেন না। পরে সার্বিক তদন্ত করে জানতে পারি হামিদা বেগম একজন রোহিঙ্গা। তার সহযোগীও নিজের পরিচয় ঠিকভাবে দিতে পারেনি। পরে তাদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে হামিদা বেগম একজন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে থাকা সহযোগী মো. এরশাদও রোহিঙ্গা। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে বসবাস করে আসছেন। তারা দুজন নির্বাচন অফিসে ভুয়া কাগজে ভোটার আইডি কার্ড বানাতে এসেছিলেন। দুপুরে তাদের কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।