শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
ভৈরবের ট্রলার ডুবিতে পুলিশ সদস্য তার স্ত্রী, দুই সন্তানসহ ৮জন নিখোঁজ, নারীর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৪:৫৮ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে পুলিশ কন্সটেবল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ৮ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনার পর ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক অজ্ঞাত নারীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে।

তাদের উদ্ধারে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা, নৌ-থানা কাজ করছে। তবে রাত হয়ে যাওয়াতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল, অজ্ঞাত (৩৫) মহিলা। ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।

নিখোঁজের স্বজন রত্না বেগম জানান, আমাদের পাশের বাড়ির ৭ জন নৌকায় ছিল। ৪ জন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল ও একজন মহিলা কে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া জানান, আমার বাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ঘুরতে ব্রীজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণ ট্রলার ডুবে যায়। বাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেড এর সাথে ভ্রমণ ট্রলারের ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে ২০ জন ডুবে গেলে ১২ জন কে উদ্ধার করা হলে ও ৮জন নিখোঁজ ছিলো পরে এক অজ্ঞাত ১ মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। রাতে অন্ধকারে উদ্ধার কর্মীরা কাজ করতে পারে না এজন্য উদ্ধার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল একে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে।

ভৈরব নৌথানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি স্থানীয়রা ৮ জনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। একাধিক নৌপুলিশ টিম তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।

সম্পর্কিত
ফেইসবুক পেইজ